এটিকে সাধারণত(Bovine Ephemeral Fever)বোভাইম এফিমেরাল ফিভার বলা হয়। এটি গবাদিপশুর ভাইরাস জনিত রোগ।এ রোগ ৩ দিন স্থায়ি হয় বলে একে ডেজ সিকনেস বলা হয়ে থাকে।এটি সাধারণত মশা মাছি,ডাস থেকে সংক্রমণ ছড়ায়।
এফিমেরাল ফিভার রোগের কারণ:
এটি সাধারণত গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের ফলে যে এলাকায় গরু মহীষ বেশি পালন করা হয় সেখানে মহামারি দেখা দেয়।
এফিমেরালের লক্ষ্মণ :
১.আক্রান্ত পশু খাবার দাবার ছেরে দেয় এবং প্রচন্ড কাপুনি দিয়ে জ্বর উঠা শুরু হয়।
২.আক্রান্ত গরু প্রচুর পরিমানে জিহ্বা বাহির করে হাপাতে থাকে।
৩.নাক ও চোখ দিয়ে একধরনের তরল বাহির হতে থাকে এবং মুখ দিয়ে প্রচুর ফেনা বাহির হতে দেখা জায়।
৪.বেশিরভাগ সময় গরু অনেক বেশি হাপাতে থাকে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
৫.জ্বর সাধারণত ১০৬-১০৭ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে।
৬.এবং শরীরে ব্যাথার কারণে গরু হাটতে পারে বা খুরিয়ে হাটে অথবা দুই পা বা এক পা তুলে হাটে।
এফিমেরাল রোগ এর চিকিৎসা :
সাধারণত এটি জ্বর ও ব্যথা জনিত একটি রোগ এবং এটি ৩ দিনের বেশি থাকে না।ভয় পাওয়া বা আতংকিত হউয়ার কোন কারণ নেই।
১.জ্বর ও ব্যাথা কমানোর জন্য নাপা এবং রেনামাইছিন টেবলেট ব্যবহার করুন দিনে দুই বার।
(১০০কেজি গরুর জন্য ১টি নাপা এবং ১ টি রেনামাইছিন টেবলেট)
২.অতিরিক্ত গরু হাপাতে থাকলে মাথায় পানি দিন।
৩.সবসময় শুকনো ও পরিস্কার জায়গায় পশুটিকে রাখুন।
৪.২ দিনের মাথায় আবারো সেইম ঔষধ ব্যবহার করুন।
৫.ইন্সাল্লাহ ৩ দিনের মধ্যে আপনার ভালোবাসার পশুটি সুস্থ হয়ে যাবে।
বি:দ্র:(গ্রাম এলাকায় খামারিরা অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও শ্বাসকষ্ট দেখে অনেকেই পশুচিকিৎসককে ডেকে আনেন তারা সাধারণ কিছু ইঞ্জেকশন বা ঔষধ দিয়ে ১০০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত বিল করে থাকে।অথবা হাই কোন এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দিয়ে ফেলে এতে করে গরু মারা জাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই সাধারণ এর চিকিৎসা গুলো করুন ইন্সাল্লাহ আপনার পশুটি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।)
0 মন্তব্যসমূহ